1. news@uthsoberalo.com : উৎসবের আলো : উৎসবের আলো
  2. info@uthsoberalo.com : দৈনিক উৎসবের আলো : দৈনিক উৎসবের আলো
  3. info@www.uthsoberalo.com : উৎসবের আলো :
শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ১২:৩৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
আবারো টাঙ্গাইল ডিএনসির বিরুদ্ধে মাদক অভিযানের নামে নগদ টাকা লুটের অভিযোগ। ভূঞাপুরে পূর্ব বিরোধের জেরে প্রকাশ্যে গণপিটুনি: হামলাকারী ৬ জন গ্রেফতার। পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন আল আমিন হাওলাদার। ভূঞাপুরে ক্রেতা-বিক্রেতা শুন্য ঐতিহ্যবাহী গোবিন্দাসী পশুর হাট। মুন্সীগঞ্জে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যারকারীর ফাঁসির দাবিতে বি‌ক্ষোভ ও মানববন্ধন। মুন্সিগঞ্জ পুলিশ লাইন্সে জেলা পুলিশ সুপার পরিদর্শন চুড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ। বীরগঞ্জে শ্যামলী কোচের ধাক্কায় অটো চালক মোস্তফা নিহত, আহত-১। ভূঞাপুরে বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস এর জনশক্তি সম্মেলন অনুষ্ঠিত। দুদক কী সত্য লুকোচ্ছে? মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতাল নিয়ে জনমনে ক্ষোভ ও প্রতিবাদ। মৌলভীবাজারে পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত।

রাতের আঁধারে ছেলের কবরে লুকিয়ে মাটি দিলেন বাবা।

উৎসবের আলো
  • প্রকাশিত: রবিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৫৯১ বার পড়া হয়েছে

 

হাবিবুর রহমান সম্রাট তালুকদার উপজেলা প্রতিনিধি :

ছেলের কাঁধে বাবার লাশ উঠবে এটাই স্বাভাবিক কিন্তু সেই বাবার কাঁধেই যদি একমাত্র ছেলের লাশ বহন করতে হয় তবে সেটা বেদনাদায়ক।

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে হতভাগা এক বাবা তার একমাত্র ছেলের লাশ কাঁধেও নিতে পারেনি, রাতের আঁধারে চুপিসারে এসে প্রাণপ্রিয় পুত্রের কবরে মাটি দিলেন বাবা।

রবিবার (২৭ এপ্রিল) বিকালে একটি ভিডিও ফুটেজ আসে উৎসবের আলো পত্রিকার প্রতিনিধি কাছে। ভিডিওতে দেখাযায়, টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নে সিনিয়র  সহ সভাপতি পাভেল রহমান লুকিয়ে  তার ছেলের কবরে মাটি দিচ্ছেন। এসময় তাকে সান্তনা দিয়ে তার সঙ্গ দেন নিকরাইল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাসুদুল হক মাসুদ।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সারা দেশের ন্যায় টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের শতাধিক  নেতাকর্মী আত্মগোপনে চলে গেছেন। ভয়ে কেউ প্রকাশ্যে বের হতে পারছেন না। আর সেই ভয়াবহ বাস্তবতায় ঘটেছে হৃদয়বিদারক এক ঘটনা।

নিকরাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পাভেল রহমান যখন আত্মগোপনে, ঠিক তখনই পাভেলের বুকের ধন, তার একমাত্র ছেলে সাদমান রাফিদ ইফতি না ফেরার দেশে চলে যায়।

২৬ এপ্রিল ভোর ৬.৩০  ঘটিকায় ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন ইফতি।

পরিবারে নেমে আসে শোকের কালো ছায়া।
কিন্তু সন্তানের শেষ বিদায়ে থাকতে পারলেন না পিতা। জীবনের ভয়, পুলিশের আতঙ্ক তাকে ঠেলে রাখলো অজানা অন্ধকারের দিকে।

গতকাল শনিবার (২৬ এপ্রিল) বিকালে গ্রামের কবরস্থানে ইফতির দাফন সম্পন্ন হয়। চারপাশে শোকের নীরবতা, কান্নার শব্দ। অথচ বাবার চোখের জল শুকিয়ে গেছে লুকোনো কোনো ঘরের কোণে। ছেলের লাশ যখন গ্রামের মাটিতে নেমে আসে, তখনো সে অদৃশ্য… নিঃশব্দে কাঁদছিল কোথাও।

রাত গভীর হলে, আকাশে যখন চাঁদের আলো মিশে অশ্রু হয়ে নামে, পাভেল চুপিসারে আসে ছেলের কবরে। পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে নিঃশব্দ পায়ে ছুটে আসে সন্তানের শেষ ঠিকানায়।
কবরের পাশে হাঁটু গেড়ে বসে বাবার হাত — কাঁপা হাতে মাটি দিলো সন্তানের গায়ে।

মাটির গন্ধ আর কান্নার শব্দ মিলেমিশে এক হয়ে যায় রাতের অন্ধকারে। কেউ দেখেনি, কেউ শোনেনি — শুধু বাতাস বুঝেছে, এই পৃথিবীর সবচেয়ে মর্মান্তিক ব্যথার ভাষা।

পুত্র হারানোর ব্যথা, ছুঁয়ে দেখতে না পারার কান্না আর আত্মগোপনের নিরুপায় বাস্তবতা — ভূঞাপুরের নিকরাইলে ইতিহাস হয়ে থাকবে আজীবন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, উৎসবের আলো-২০২৫, অনুলিপি ও বাণিজ্যিক ব্যবহারের আগে অনুমতি আবশ্যক। আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট