হাবিবুর রহমান সম্রাট তালুকদার
উপজেলা প্রতিনিধি
আসন্ন ঈদুল ফিতর সহ বিভিন্ন উৎসবের ছুটিতে ঘরমুখো মানুষের জন্য এই মহাসড়কটি অত্যাধিক গুরুত্বপূর্ণ। নির্ধারিত সময়ের আগে নির্মাণাধীন মহাসড়কের কাজ শেষ না হওয়ায় এ বছরও ঈদের আগে তীব্র যানজটে ভোগান্তির শিকার হতে পারেন চালকসহ যাত্রীরা।
তবে মহাসড়ক প্রকল্প ম্যানেজারের দাবি, এই ঈদে চার লেনের সুবিধা পাবে ঘরমুখো মানুষ। ফলে এ বছর যানজট ছাড়াই নির্বিঘ্ন ঈদযাত্রা হবে।
টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ বলছে, নির্বিঘ্ন ঈদযাত্রা করতে ৬৫ কিলোমিটার মহাসড়কে পালাক্রমে সাড়ে ৭০০ পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়াও যানজট এড়াতে নেওয়া হয়েছে নানান কার্যকরী পদক্ষেপ।
ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়ক দিয়ে উত্তরবঙ্গ সহ প্রায় ২৩টি জেলার যানবাহন চলাচল করে। এতে মহাসড়কের টাঙ্গাইল অংশে রয়েছে ৬৫ কিলোমিটার। এরমধ্যে গোড়াই থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত চার লেন দিয়ে নির্বিঘ্নে যানবাহন চলাচল করতে পারলেও এলেঙ্গা থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ১৩ কিলোমিটার সড়কে চলাচল করতে হয় দুই লেন দিয়ে। এতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়ে ব্যাপক ভোগান্তির শিকার হতে হয় চলাচলকারীদের।
চালক ও যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানতে পারি, মহাসড়কে অতিরিক্ত গাড়ির চাপ, আগে যাওয়ার অসুস্থ প্রতিযোগিতা, চার লেনে আসা যানবাহন দুই লেনে প্রবেশ এবং চার লেনে উন্নতকরণের কাজের ধীরগতির কারণে যানজটের শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। যদিও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মহাসড়কের ওই অংশ পরিদর্শন করে সমস্যা চিহ্নিত এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আব্দুল মোনায়েম লিমিটেডের প্রকল্প ম্যানেজার মো. রবিউল আওয়াল জানান- এ বছর ঈদের আগে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি লাঘবে চার লেনের সুবিধা পাবে আশা করা যায়। তারপরও যদি অতিরিক্ত যানজটের সৃষ্টি হয়। তাহলে গত বছরের মত এবারও বিকল্প ব্যবস্থাও রেখেছেন টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ। এতে ঈদের আগে এলেঙ্গা থেকে সেতু পূর্ব পর্যন্ত মহাসড়ক টি ওয়ানওয়ে করা হবে। যার ফলে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা উত্তরবঙ্গগামী সকল যানবাহন চলবে এক মুখী হয়ে। আর উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী যানবাহন গুলো সেতু পাড় হয়ে গোলচত্বর থেকে উত্তর দিকে বিকল্প সড়ক হিসেবে ভূঞাপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক হয়ে এলেঙ্গা দিয়ে ঢাকার পথে যাবে জানান সংশ্লিষ্টরা।
যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবির পাভেল জানান, ঈদে ভোগান্তি লাঘবে যমুনা সেতুতে আলাদা মোটরসাইকেলের বুথসহ উভয় পাশে অতিরিক্ত ৬টি বুথ বাড়ানো হবে। বেশির ভাগ সময় সেতুর উপরে দুর্ঘটনার কারণে যানজট তৈরি হয়। যানজট নিরসনেও এ বছর সকল ধরনের প্রস্তুতি রাখা হয়েছে।
টঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন- ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি লাঘবে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। নিরবিচ্ছিন্ন ঈদ যাত্রা করতে ৬৫ কিলোমিটার মহাসড়কে প্রায় সাড়ে ৭০০ পুলিশ মোতায়েন থাকবে। এছাড়া বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবীরাও মহাসড়কে দায়িত্ব পালন করবে।
গত বছর ঈদের ছুটিতে এই সেতু দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৬৫ ৭০ হাজার যানবাহন চলাচল করেছে। তাছাড়া গত কয়েক বছরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে যানজট ও যাত্রী হয়রানি বন্ধে কাজ করবে টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ সহ সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষ, এমনটাই প্রত্যাশা চালক সহ যাত্রীদের।