1. news@uthsoberalo.com : উৎসবের আলো : উৎসবের আলো
  2. info@uthsoberalo.com : দৈনিক উৎসবের আলো : দৈনিক উৎসবের আলো
  3. info@www.uthsoberalo.com : উৎসবের আলো :
শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ০১:৫৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কুড়িগ্রামের উলিপুরে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালিত হয়েছে। গোপালগঞ্জে জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে মহান মে দিবস ২০২৫ পালিত। কুমিল্লা চান্দিনায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ৭টি ড্রেজার মেশিন জব্দ। চাঁপাইনবাবগঞ্জে মহান মে দিবস উপলক্ষে রালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত। নীলফামারীতে বিএনপি নেতা তুহিনের মুক্তির দাবীতে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ। পীরগাছা তেতুলতলা ডারার পার,সরকারি রাস্তার ইট তুলে বিক্রি করেন,মাদক ব্যবসায়ী জাহিদুল ইসলাম। কুমিল্লার লাকসামে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার। কুমিল্লায় বন‍্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ৭০টি সরকারি বসতঘর হস্তান্তর। জয়পুরহাটে জামায়াতের গণসংযোগ পক্ষের বিশাল শোডাউন। কুড়িগ্রামে নিজের দেওয়া ফাঁদে নিজেই নিহত।

ছাত্র আন্দোলনে সংঘাতে জড়িত আবু হাওলাদারের বিরুদ্ধে অস্ত্র লুকিয়ে রাখার অভিযোগ।

উৎসবের আলো
  • প্রকাশিত: শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৪০ বার পড়া হয়েছে

 

মোঃ শান্ত খান ঢাকা জেলা প্রতিনিধি

ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে পেশাগত দায়িত্ব পালন করছিলেন আল আমিন (বাবু) (৩০) নামে এক ফটোসাংবাদিক। সেখানেই হামলার শিকার হন তিনি। রামদা ও লোহার রড দিয়ে আঘাত করে হাতের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়া হয়, ভেঙে ফেলা হয় মোটরসাইকেলটিও। গেল ১৭ অক্টোবর ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ ঘটনায় মামলা করেন ভুক্তভোগী। এ মামলায় ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে আসামি করা হয় ইকবাল হোসেন আবু হাওলাদারসহ আরও ১৮ জনকে। এই মামলার আসামি ইকবাল হোসেন আবু হাওলাদারের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে পাওয়া গেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

ইকবাল হোসেন আবু হাওলাদার পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার মৃত কায়ছার উদ্দিনের ছেলে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, মুক্তিযুদ্ধকালীন অস্ত্র জমা না দিয়ে নিজের কাছে রেখে এলাকাবাসীকে ভয়ভীতি দেখানোর।

মুক্তিযুদ্ধকালীন অস্ত্র নিজের কাছে রেখে ভান্ডারিয়া বন্দরের অন্যতম ধনী ব্যবসায়ী আব্দুল করিম হাওলাদারের বাজারের ভিটি দখল করে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে এই আবু হাওলাদারের বিরুদ্ধে। এসব ঘটনায় তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি এলাকাবাসীর। বিষয়টি খতিয়ে দেখার কথা জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধের পরে আবু হাওলাদারের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ করা বিএনপি নেতা সাবেক সংসদ সদস্য গাজী নুরুজ্জামান বাবুলের কাছ থেকে পাঁচটি অস্ত্র, ভান্ডারিয়ার তৎকালীন সার্কেল অফিসারের ছেলে স্বপনের কাছ থেকে একটি, বিএনপি নেতা সেলিম লাহারীর কাছ থেকে একটি, কাজী বজলুর রহমানের কাছ থেকে একটিসহ বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা গেলেও আবু হাওলাদারের কাছ থেকে কোনো অস্ত্র উদ্ধার করা যায়নি।

তথ্য বলছে, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ গোপাল কৃষ্ণ টাউন ক্লাব মাঠে সংগ্রাম- পরিষদের জনসভা চলছিল। সেখানেই তৎকালীন এম,এন,এ অ্যাডভোকেট এনায়েত হোসেন খান ঢাকায় পাকিস্তানি সৈন্যদের নির্মম বিবরণ দেন। এ সময় উত্তেজিত জনতাকে আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, আজ এখনই অস্ত্রাগার লুণ্ঠন করে সবার হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া হবে। বক্তব্য শেষ হওয়ার সাথে সাথে উত্তেজিত জনতা অস্ত্রাগারের দিকে এগিয়ে যায়। এ সময় পিরোজপুরের মহকুমা প্রশাসকের অফিসের অস্ত্রাগারটি লুট করা হয়। এরমধ্যে ৪২টি রাইফেল নকশালপন্থীদের কাছে ও ২২টি অস্ত্র ছিল শান্তি কমিটির কাছে। দুই দিন পর ২৮ মার্চ পিরোজপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে একটি ক্যাম্প স্থাপন করে সাধারণ মানুষদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ শুরু হয়।

এদিকে মুক্তিযুদ্ধ শেষে সবাই অস্ত্র জমা দিলেও আবু হাওলাদার অস্ত্র জমা দেননি। বরং তিনি যুদ্ধের পরে অস্ত্র নিয়ে রাখেন প্রতিবেশি পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মালতী রাণীর তৎকালীন কর্মস্থল মঠবাড়ীয়া থানা সদরের বাসায়। তার ভাড়া বাড়ির পেছনে গর্ত করে সেই অস্ত্র লুকিয়ে রাখেন। পরে সেই অবৈধ অস্ত্র দিয়ে শুরু করেন লুটপাট।

স্থানীয়রা বলছেন, আবু হাওলাদারের অস্ত্রের ভীতিতে এলাকাজুড়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম হয়। নকশালপন্থী রাজনীতি করে তিনি লুটপাট, দখল ও হামলার ঘটনাকে নৈমিত্তিক ঘটনায় রুপ দেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সম্প্রতি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনেও ছাত্র-জনতার ওপর হামলায় যুক্ত ছিলেন এই আবু হাওলাদার। তার হামলার শিকার আল আমিনের (বাবু) (৩০) মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ভুক্তভোগী আল আমিন (বাবু) (৩০) একটি সংবাদপত্রে ফটো সাংবাদিক হিসেবে কর্মরত। গত ১৭ জুলাই পেশাগত দায়িত্ব পালনে যাত্রাবাড়ীর দনিয়া কলেজের কাছে অবস্থান করছিলেন তিনি। এ সময় মামলার আসামিদের কয়েক জন ভুক্তভোগীকে রামদা ও লোহার রড দিয়ে আঘাত করে। এছাড়া তাকে মারধর করে হাতের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয় ও মোটরসাইকেলটি ভেঙে ফেলে। পরবর্তীতে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়।

এসব ঘটনায় আবু হাওলাদারের বিচার দাবি করেন স্থানীয়রা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, আবু হাওলাদার দীর্ঘ দিন ধরেই নানা অপকর্মে জড়িত। বিগত সরকারের আমলেও তার ভয়ে সবাই আতঙ্কে থাকতো। এখনও সে বহাল তবিয়তে রয়েছে। তাকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত আবু হাওলাদারের ব্যক্তিগত মুঠোফোন নম্বরে কল ও ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হয়। তবে তিনি এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য দেননি।

ভান্ডারিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) জিয়া উদ্দিন বলেন, বিষয়টি জানা নেই। এ সংক্রান্ত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট