1. news@uthsoberalo.com : উৎসবের আলো : উৎসবের আলো
  2. info@uthsoberalo.com : দৈনিক উৎসবের আলো : দৈনিক উৎসবের আলো
  3. info@www.uthsoberalo.com : উৎসবের আলো :
রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ০৯:১৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ভূঞাপুরে ডাকাতির ঘটনায়  দুই শিক্ষক জড়িত থাকার অভিযোগ। ভূঞাপুর হাসপাতালের ছাঁদ চুইয়ে পানি পড়ছে রোগীর বিছানায় সেবা দিতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে কর্তব্যরত নার্স। ভূঞাপুরে মাদ্রাসা ছাত্রকে যৌন নির্যাতনের অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেফতার। অভিভাবক সমাবেশ ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান-২০২৫। ভূঞাপুরে মাদরাসা ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ, ধামাচাপার চেষ্টা প্রভাবশালীদের। পটুয়াখালীতে ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (আপ বাংলাদেশ)-এর জেলা আহ্বায়ক কমিটি গঠন। ভূঞাপুরে মাদক বিক্রির দায়ে ছাত্রদল নেতার বাবার ৩ মাসের জেল। আবারো টাঙ্গাইল ডিএনসির বিরুদ্ধে মাদক অভিযানের নামে নগদ টাকা লুটের অভিযোগ। ভূঞাপুরে পূর্ব বিরোধের জেরে প্রকাশ্যে গণপিটুনি: হামলাকারী ৬ জন গ্রেফতার। পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন আল আমিন হাওলাদার।

ভূঞাপুর হাসপাতালের ছাঁদ চুইয়ে পানি পড়ছে রোগীর বিছানায় সেবা দিতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে কর্তব্যরত নার্স।

উৎসবের আলো
  • প্রকাশিত: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫
  • ৬৭ বার পড়া হয়েছে

 

হাবিবুর রহমান সম্রাট তালুকদার উপজেলা প্রতিনিধি:

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল যেন দূর্ভোগের এক স্থায়ী ঠিকানা। সেখানে এবার ছাঁদ চুইয়ে পানি গড়িয়ে পড়ছে ভর্তি থাকা রোগীর বিছানায়। আর এতে চরম ভোগান্তিতে রয়েছে চিকিৎসা নিতে আসা নবজাতক ও শিশুরা। স্যাতস্যাতে পরিবেশে চরম স্বাস্থ্য ঝুকিতেও রয়েছে রোগী এবং স্বজনরা।

রবিবার (৩ আগষ্ট) সরেজমিনে ঐ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে  গিয়ে দেখা যায় এমন দৃশ্য। সেখানে ছাদ চুইয়ে বৃষ্টির পানি গড়িয়ে পড়ছে ভেতরে ভর্তি থাকা শিশু রোগীর বিছানায়। যার ফলে বিছানায় রোগী শুয়ে বা বসে চিকিৎসা নিতে পারছেনা। বাধ্য হয়ে দাড়িয়ে থাকতে হয় অথবা বিছানার এক পাশে বসে থাকতে হয়। মেঝেতে বৃষ্টির পানিতে স্যাতস্যাতে ও অস্বাস্থ্যকর একটা পরিবেশ তৈরি হয়েছে। যা দেখলেই গা শিউরে ওঠে । এমন পরিবেশের মধ্যে   রয়েছে শিশু রোগীরা। ঐ ওয়ার্ডে ৬ টি বৈদ্যুতিক পাখা থাকলেও চলে একটি এবং বাকি গুলা সব নষ্ট। তীব্র গরমেও শিশু রোগীদের থাকতে হয় চরম কষ্টে। তীব্র গরমে শিশু রোগীরা ফের অসুস্থ হচ্ছে। রোগীর স্বজনরা তাদের বাড়ি থেকে নিয়ে আসা হাতপাখা অথবা পোর্টেবল চার্জার ফ্যান দিয়েই কোনরকম দিন পারকরছেন। শিশু বাচ্চাদের ঠান্ডাজনিত রোগে অনেক সময় গ্যাস দিতে হয়। শিশু ওয়ার্ডের একটি মাত্র গ্যাসের মেশিন থাকলেও সেটি অকার্যকর। বৈদ্যুতিক সংযোগ দিলেই যন্ত্রের ভেতর আগুন লাগে। যারফলে সেটি ব্যবহার করা যায় না। রোগীর স্বজনরা বাধ্য হয়ে বাইরে থেকে মেশিন ক্রয় করে নিয়ে আসে।

ভর্তি থাকা এক রোগীর মা বলেন, চার দিন যাবৎ ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছি। কোন হাসপাতালের পরিবেশ এমন হতে পারে না। এখানে অসুস্থ হয়ে আসে চিকিৎসা নিতে।  উল্টো এই হাসপাতালে আসলে সুস্থ মানুষ অসুস্থ হয়। হাসপাতালের ছাঁদ চুইয়ে পানি পড়ে বিছানায়। ছোট বাচ্চা নিয়ে রাতে শুইতেও পারি না। বসে থাকতে হয়। ওষুধপত্র অধিকাংশই বাইরে থেকে কিনে আনতে হয়। বাচ্চার গ্যাস দিতে হয়, সেই মেশিনও নষ্ট। গরমে ফ্যান চলে না। ছয়টি ফ্যানের মধ্যে পাচটি নষ্ট।

এদিকে পুরুষ ওয়ার্ডের ভেতরে প্রবেশ করা মাত্রই দেখা যায় রোগীদের ভিড়ে সিট খালি নেই । বাইরে মেঝেতেও ভর্তি রোগির অবস্থান। সেখানে একাধিক শ্বাসকষ্টের রোগী ভর্তি রয়েছে। তাদের অভিযোগ নিয়মিত গ্যাস দিতে হয় তাদের। কিন্তু হাসপাতালের গ্যাসের মেশিন নষ্ট থাকার কারনে তারা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

আর অনেক রোগী জানান, দুই দিন যাবৎ হাসপাতালে ঠান্ডা, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হয়েছি। কিন্তু দুই একটা ওষুধ ছাড়া বাকি সব ওষুধ বাইরে থেকে কিনে আনতে হয়। এছাড়া শ্বাসকষ্টের রোগীদের যে মেশিনের মাধ্যমে গ্যাস দেয়া হয় সেটি নষ্ট থাকার কারনে বাইরে থেকে কিনে এনেছি। বর্তমানে হাসপাতালের সেবার মান খুবই খারাপ।

প্রতিদিন বেলা ১১টায় ডাক্তার একবার করে এসে প্রতিটা ওয়ার্ডে রোগীদেখেন।

কর্তব্যরত নার্সদের সাথে কথা বলতে চাইলে তারা কথা বলতে রাজি না হলেও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নার্স জানান, বর্তমানে ঠান্ডা জ্বর ও শ্বাসকষ্ট রোগীর চাপ একটু বেশি হওয়ার কারণে যথেষ্ট পরিমান লোকবল এবং বিছানা সংকট রয়েছে। আমরা তেমনটা সেবা দিতে পারছি না। আমাদের মধ্যে ৪-৫ জন নার্স বাড়তি রোগির চাপ সামাল দিতে গিয়ে নিজেরাই এই হাসপাতালেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। সর্বমোট ১০ জন নার্স বর্তমানে তারা নিজেরাই অসুস্থ। বাকিরা ভাগ ভাগ করে রোগীদের যতটুকু সম্ভব সেবা দিচ্ছি।

এ বিষয়ে ভূঞাপুরের বিশিষ্ট সমাজসেবক ভূঞাপুর বাজার বণিক সমিতির সভাপতি শাজাহান কবির লিটন বলেন আমাদের ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গোপালপুর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়ন ,ঘাটাইল উপজেলার লোকেরপাড়া , আনেহলা ইউনিয়ন ও কালিহাতী উপজেলার কিছু অংশ আমাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবা নিতে আসে তার কারণে আমাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত ডাক্তার নার্সদের চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খেতে হয় তাই আমি ভূঞাপুরের সচেতন নাগরিক হিসেবে দাবি জানাচ্ছি যে ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৫০ শয্যা থেকে ১০০ শয্যায় উন্নীত করণ করা হোক ।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আব্দুস সোবহান বলেন, আমি বার বার সমস্যার সমাধান চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে চিঠি দিয়েছি। আমি চেষ্টার কোন ত্রুটি রাখিনি। অবশেষে গত বুধবার সিভিল সার্জন স্যার এসে ভিজিট করে গেছে। অতি শিগ্রই সমস্যার সমাধান করা হবে।

নেবুলাইজার মেশিন বিকল থাকায় সেবা পাচ্ছেনা রোগীরা এি বিষয়ে তিনি বলেন, মেশিনটা বিকল হয়ে গেছে। ইদানিং প্রচুর রোগী আসছে। মেশিনের জন্যও চিঠি দিয়েছি। শিগ্রই মেশিনটি ক্রয় করা হবে অন্যথায় বিকল্প হিসেবে অন্য হাসপাতাল থেকে আনা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, উৎসবের আলো-২০২৫, অনুলিপি ও বাণিজ্যিক ব্যবহারের আগে অনুমতি আবশ্যক। আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট