হাবিবুর রহমান সম্রাট তালুকদার উপজেলা প্রতিনিধি
“জ্ঞানের জন্য এসো সেবার জন্য বেরিয়ে যাও” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে রায়ের বাসালিয়া খন্দকার কুলসুম জামান উচ্চ বিদ্যালয়ে অভিভাবক সমাবেশ ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
২৭ জুলাই (রবিবার) সকাল ১১ঘটিকায় বিদ্যালয় অভিটরিয়ামে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খন্দকার কুলসুম জামান উচ্চ বিদ্যালয়ের পিটিএ কমিটির সভাপতি জনাব আমিনুল ইসলাম জুয়েল মিঞা। অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনায় ছিলেন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ মোমিন তরফদার ।
উদ্ভোধন করেন গাবসারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ আলম আকন্দ শাপলা। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের সভাপতি অধ্যাপক মোঃ আনোয়ার হোসেন তালুকদার, বিশেষ অতিথি বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য মোঃ রবিউল আউয়াল তালুকদার, দাতা সদস্য আলহাজ্ব শফিউল আলম তালুকদার, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী মোঃ আলমগীর হোসেন মিয়া, সাবেক সহকারী অধ্যাপক মোঃ মোশাররফ হোসেন, তাড়াই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ফজলুর রহমান, ভূঞাপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমান, অভিভাবক সদস্য মোঃ আব্দুর রশিদ শেখ, শিক্ষক প্রতিনিধি মোঃ নাসির উদ্দীন, স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ছানোয়ার হোসেন খান।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বিদ্যালয়ের পড়াশোনার
মানোন্নয়ন সম্পর্কে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা মূলক কথা এবং বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়া ছাত্র ছাত্রীদের কথা তুলে ধরেন। বক্তারা বলেন, অত্র বিদ্যালয়ে গেল এস এস সি পরীক্ষার ফলাফলে ধস দেখা দিয়েছে। এভাবে আর চলতে দেয়া যাবে না। আগামী পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে হলে অভিভাবকদের সহযোগিতা শিক্ষকদের পরিশ্রম, শিক্ষার্থীদের নিয়মিত অধ্যাবসায় মিলে একটি একটি ভালো ফলাফল বয়ে আনতে পারে।
১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এই নিভৃত পল্লীতে বিদ্যালয়টিতে রয়েছে সুন্দর অবকাঠামো, সচেতন গভর্নিং বডি, সুদক্ষ শিক্ষক তারপরেও শিক্ষার মান নিম্নমুখী বলে জানায় স্থানীয় অভিভাবকরা।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, ইতিমধ্যে শিক্ষার মান উন্নয়নে গাইড টিচারের মাধ্যমে সার্বক্ষনিক তদারকির ব্যবস্থা গ্রহন করণ। উন্নয়নে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা কামনা করেন। তিনি অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, “শিশুদের সুশিক্ষা নিশ্চিত করতে আপনাদের সচেতন ভূমিকা অপরিহার্য। এসময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও অতিথিরা ছাত্র ছাত্রী দের মোবাইল ফোনের অপব্যবহার: সতর্ক হওয়ার বিষয়ে তাগিদ দিয়ে বলেন, আজকাল মোবাইল ফোন ছাত্রছাত্রীদের জীবনের অংশ হয়ে উঠলেও এর অতিরিক্ত ব্যবহার তাদের জন্য ক্ষতিকর। মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় মনোযোগ বিঘ্নিত করে। অনেক ছাত্র-ছাত্রী ক্লাসে ফোনে গেম খেলে, সোশ্যাল মিডিয়ায় সময় কাটায় বা অপ্রয়োজনীয় ভিডিও দেখে, ফলে তাদের শেখার প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব শিক্ষার্থী ক্লাসে বা বাড়িতে মোবাইল ফোনে বেশি সময় ব্যয় করে, তাদের পরীক্ষার ফলাফল তুলনামূলকভাবে খারাপ হয়। দীর্ঘ সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে চোখের সমস্যা, মাথাব্যথা, ঘুমের ব্যাঘাত এবং মানসিক চাপ বাড়ে। বিশেষ করে রাতে ফোন ব্যবহার করলে মেলাটোনিন হরমোন নিঃসরণ কমে যায়, যা ঘুমের গুণগত মান নষ্ট করে। এছাড়াও, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অতিরিক্ত সময় দেওয়ার ফলে অনেক শিক্ষার্থী হতাশা ও উদ্বেগে ভুগছে। মোবাইল ফোন যেমন আমাদের জীবনে সুবিধা এনেছে, তেমনি এর অপব্যবহার শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তাই, অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মোবাইল ফোনের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করে এর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্ত থাকতে হবে। একটি সুস্থ ও সুন্দর ভবিষ্যৎ গঠনে মোবাইল ফোনের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা আমাদের সকলের দায়িত্ব।