হাবিবুর রহমান সম্রাট তালুকদার, উপজেলা প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে আল-কারীম দারুল উলুম আজাদী মাদরাসার ওয়ালী উল্লাহ্ নামে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ১১ বছরের এক ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনা ধামাচাপা দিতে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল সক্রিয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
ভুক্তভোগীর পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২২ জুলাই রাতে ওই ছাত্র ঘুমিয়ে ছিল। মাঝরাতে শিক্ষক ওয়ালী উল্লাহ্ তাকে ডেকে নিজের কক্ষে নিয়ে যায়। প্রথমে পা ও শরীর টিপাতে বলেন। পরে যৌনাঙ্গে মালিশ করতে বাধ্য করেন। এরপর ছাত্রটিকে বিকৃত যৌন আচারে বাধ্য করেন। একদিন পর আবার একই কায়দায় ডেকে নেয় এবং পুনরায় বলাৎকারের চেষ্টা করলে শিশুটি চিৎকার করলে ছেড়ে দেয়।
ঘটনার পর মাদরাসার ভিতরে ও বাইরে বিষয়টি জানাজানি হলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এলাকাবাসী বিচার দাবি করলেও একাধিক রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতার হস্তক্ষেপে ভুক্তভোগী পরিবারকে মামলা না করার জন্য চাপ দেয়া হচ্ছে।
ভুক্তভোগী ছাত্রটি জানায়, “হুজুর প্রথমে শরীর টিপতে বলেন, পরে গোপনাঙ্গ টিপতে বাধ্য করেন। এরপর জোর করে অনেক খারাপ কিছু করান। দ্বিতীয় দিনও জোর করে আবার নেয়।”
ভুক্তভোগীর মা বলেন, “ধর্মীয় শিক্ষা দিতে ছেলেকে মাদরাসায় দিয়েছিলাম। আর হুজুরই এমন কাজ করবে বুঝিনি। আজ আমার ছেলের সাথে করেছে, কাল অন্য কারো সাথে করবে। আমি এই ঘটনার দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবি করছি।”
এদিকে ঘটনার পর অভিযুক্ত শিক্ষক ওয়ালী উল্লাহ পলাতক রয়েছেন। উক্ত প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করেন চরমোনাই পীরের রাজনৈতিক দল ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের ভূঞাপুর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মনোয়ার হোসেন। তবে তার সাথে যোগাযোগ করতে মুঠোফোনে বারবার কল দিলেও তিনি রিসিব করেননি।
ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম রেজাউল করিম জানান, এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।