মোঃ আফতাবুল আলম
রাজশাহী
আওয়ামী লীগের দোসর মুকুলের বালিঘাট ইজারার বাতিলের ৪৮ঘন্টা আল্টিমেটাম
আওয়ামী লীগের দোসর ফ্যাসিস্ট সরকারের সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের প্রধান পৃষ্ঠোপোষক ৫ আগস্টের একাধিক মামলার আসামী মোখলেসুর রহমান মুকুলকে বালিঘাট ইজারা দেয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে। রোববার বেলা ১১টায় রাজশাহী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে রাজশাহীর সর্বোস্তরের জনগণের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন হড়গ্রাম ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি ও বালিঘাট ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নাফ মুন্নাফ।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন রাজপাড়া থানা যুবদলের সাবেক সভাপতি বিএনপি নেতা শাহানুর ইসলাম মিঠু, রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র অন্তর্গত ১নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সাবেক সভাপতি আলী হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামীম রেজা, ১নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি জহুরুল ইসলাম, রাজশাহী মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক নাজির হাসান ও আনারুল ইসলাম আনাকুল এবং বিএনপি নেতা টিপু। রাজাপাড়া থানা ছাত্রদলের সভাপতি রায়হানুল ইসলাম রাতুলের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরো বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মী, বালিঘাট ব্যাবসায়ী ও সাধারণ জনগণ উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে তারা উল্লেখ করেন পহেলা বৈশাখ ১৪৩২ সালের গোদাগাড়ী জোনের পাঁচ মৌজায় যেমন দক্ষিণ নির্মল চর, শেখেরপাড়া, এলাহীনগর, চরবার্নিশ ও পদ্মানদী নামে বালিঘাটগুলো আসামী মোখলেসুর রহমান মুকুল ইজারা পেয়েছেন। তিনি গত বৃহস্পতিবার সশরীরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এসে অত্র ইজারা বিপরীতে টাকা জমা এবং স্বাক্ষর করে যান।
তারা বলেন, ৩৬ জুলাইয়ের পলাতক আওয়ামী দোসর মখলেসুর রহমান মুকুল (মুন এন্টারপ্রাইজ) এর নামে একাধিক মামলা হয়েছে। যা (১) বোয়ালিয়া থানার কেস নং- ৩৭, তারিখঃ ২৫/০৯/২০২৪ ইং, ধারাঃ ১৪৩/৩২৩/৩২৬/৩০৭৪/৩৪ দঃ বিঃ বিস্ফোরক আইনের ৩/৪/৬ ধারা, জি আর নং- ৪১৬/২৪, (২) বোয়ালিয়া থানার কেস নং- ৪৬১/১৭, তারিখঃ ১৮/১১/২০২৪, ধারাঃ ১৪৩/ ১৪৮/১৪৯/৩২৩/৩২৪/৩২৬/৩০৭/৩৭৯/৫০৬/১১৪ পেনাল কোর্ড ১৮৬০, তৎসহ ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক উপাদানবলী আইন (সং/০২) এর ৩ ধারা মামলা রয়েছে। এই মামলার আসামী কিভাবে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে স্বাক্ষর করেন এ নিয়ে জনমনে প্রশ্ন জেগেছে। তাহলে জেলা প্রশাসন কি আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করছেন বলে প্রশ্ন করেন তারা।
তারা আরো উল্লেখ করেন মখলেসুর রহমান মুকুলের বিরুদ্ধে আরও ২ থেকে ৩টি হত্যা মামলা আছে। আওয়ামীলীগের নেতা দূধর্ষ, মাস্তান, খুনী, এশিয়া মহাদেশের হুন্ডি ব্যবসায়ী, স্বর্ণ চোরাচালান ও মাদক ব্যবসায়ী, ৫ই আগষ্টের জ্বালাও পোড়াও, হত্যা খুনের প্রধান সেনাপতি ও অর্থ যোগানদাতা এই মুকুল। তিনি ৫ আগস্টের পর থেকে পলাতক ও নিরুদ্দেশ ছিলেন। এই আসামী কি ভাবে টেন্ডার কার্যক্রমে অংশগ্রহন ও নিজে উপস্থিত হয়ে টাকা জমা ও স্বাক্ষর করেন। আর রাজশাহী জেলা প্রশাসক মুকুলের ইজারা বাতিল না করে কিভাবে ইজারা প্রদান করেছেন। আগামী ৪৮ঘন্টার মধ্যে মুকুলের ইজারা বাতিল করা না হলে আগামীতে আরো কঠোর কর্মসূচী দেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারী দেন তারা।
মুকুল কিভাবে নিজে উপস্থিত হয়ে টাকা জমা ও স্বাক্ষর করেছেন এগুলো খতিয়ে দেখে, জরুরী ভিত্তিতে, তার দরপত্র বাতিল করে, পুনরায় নতুন ভাবে দরপত্র আহŸান করে, আইনকে সমুন্নত রাখার ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ করেন তারা। সেইসাথে আওয়ামীলীগের দোসরদের সহযোগিতা ও পুনর্বাসনে সহযোগিতাকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান উপস্থিত নেতৃবৃন্দ।