জামাল উদ্দীন, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি
কক্সবাজার সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের নয়াপাড়া বাজার এলাকায় চাঞ্চল্যকর ৯বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায়অভিযুক্ত এক বৃদ্ধকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৯এপ্রিল) দুপুরে গ্রেফতার বৃদ্ধকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আটককৃত ব্যক্তি হলেন,উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের ডেইল পাড়ার বাসিন্দা মৃত আব্বাস মিয়া ছেলে এজাহার মিয়া (৬২)।
এর আগে, মঙ্গলবার সকালে ভুক্তভোগীদের পক্ষে নয়াপাড়া বাজার কমিটির সহ-সভাপতি ইমাম শরীফ বাদী হয়ে টেকনাফ মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।পুলিশ অভিযান চালিয়ে সাবরাং ইউনিয়নের ডেইল পাড়া এলাকা থেকে অভিযুক্ত এক ব্যক্তি আটক করে।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়,সাবরাং ইউনিয়নের নয়াপাড়া বাজার কমিটির সহ-সভাপতি ইমাম শরীফ(৩৭)সহ স্থানীয় লোকজন তার দোকানে গিয়ে তাকে এসব কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য বলে এবং ভবিষ্যতে আর কখনো যদি এমন কাজ করে তবে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানায়।ঐ ব্যক্তি এসব কাজ আর কখনো করবে না মর্মে আশ্বস্ত প্রদান করলেও পরবর্তীতে পুনরায় সেই খারাপ কাজ শুরু করেছে মর্মে লোকমুখে শুনতে পান।সোমবার (২৮এপ্রিল) সকালে সাবরাং ইউনিয়নের নয়াপাড়া বাজারের এজাহার মিয়ার মুদি দোকানের ভিতরে বিবাদী একটি মেয়েকে খারাপ কাজ করছে মর্মে শুনতে পান।তাৎক্ষণিক ইমাম শরীফ(৩৭) উপস্থিত জনতার সম্মুখে দেখতে পাই বিবাদী এজাহার মিয়া (৬২) অর্ধ উলঙ্গ অবস্থায় স্কুল ড্রেস পরিহিত ১নং ভিকটিমকে কোলের উপর বসিয়ে ধর্ষণের চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।তখন ভিকটিমকে উদ্ধার করে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে ভিকটিমকে ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ভিকটিম জানায় বিবাদী এজাহার মিয়া (৬২) তাকে খাবারের লোভ দেখিয়ে ঘটনাস্থলে নিয়ে এসেছে এবং তার সাথে খারাপ কাজ করার চেষ্টা করেছে।পরবর্তীতে ইমাম শরীফ(৩৭)সহ স্থানীয় লোকজন বিবাদী এজাহার মিয়া(৬২)জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনাটি স্বীকার করে।মূলত বিবাদী এজাহার মিয়া (৬২),১নং ভিকটিমকে এবং পূর্বে বিভিন্ন সময়ে অন্যান্য ভিকটিমদেরকে ঘটনাস্থলে খাবারের লোভ দেখিয়ে নিয়ে এসে তাদের সাথে বিভিন্ন খারাপ কাজ করেছিলো মর্মে জানা যায়।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উক্ত ঘটনা সমূহের ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় এলাকার মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় এবং এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
পরে এ ঘটনার বিষয়ে বাদী ইমাম শরীফ(৩৭)থানায় হাজির হয়ে এজাহার দায়ের করিলে টেকনাফ থানার মামলা নং-৮০, তারিখ-২৯/০৪/২০২৫ইং, ধারা- ৯(৪)(খ),নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সং/২০২০)রুজু করা হয়।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন,এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলা হয়েছে।অভিযুক্তকে আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে।